এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন,রংপুর:
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় অনৈতিক অবস্থায় দুই নারীসহ শাহিদুল ইসলাম(৪৫) নামে এক ইউপি সদস্যকে ১টি ভাড়া বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখে এলাকাবাসি পরে ঘটনা স্হলে পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে যায়। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
গতমঙ্গলবার(১৪ই এপ্রিল)দুপুরে উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের তালিমগঞ্জ এলাকার মামুদের পাড়ায় মৃত মঞ্জরুল ইসলামের বাসা থেকে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।
সরেজমিনে জানা যায়-নভেল করোনা ভাইরাস কোভিট-১৯ এর সচেতনা মূলক কার্যক্রম ও বহিরাগতদের প্রত্যেক এলাকায় প্রশাসনের পাশাপাশি প্রবেশ নিষেধ করেছে স্থানীয়রা। এছাড়া নিজের এলাকা করোনা ভাইরাস মুক্ত করতে সাংবাদিক ও প্রশাসন ছাড়া বহিরাগতদের প্রবেশ একবারেই নিষেধ করেছে স্থানীয় তরুণ যুবকরা এছাড়াও সচেতনামূলক কাজে সাঙ্গ দিচ্ছেন বয়স্করাও।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসিবুল ইসলাম শিপন ও মমিনুর রহমান সূত্রে জানা যায়- এলাকার বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাস সচেতনামূলক কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ দুইজন অপরিচিত মহিলা এলাকায় প্রবেশ করলে তখন সন্দেহ হয়। তখন দূর থেকে লক্ষ্য করেন মহিলা দুইজন মৃত মঞ্জরুল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশ করে মূলফটক লাগিয়ে দেয়। এসময় কয়েকজন মিলে কিছুক্ষণ পরে পাশের বাড়ি ভেতর দিয়ে প্রাচীর পাড় হয়ে দক্ষিণদুয়ারি পশ্চিম দিকের কক্ষে উলঙ্গ অবস্থায় মেম্বারসহ হাতেনাতে দুই মহিলাসহ আটক করা হয়। স্থানীয় এলাকাবাসি ঐক্যবদ্ধ হয়ে গৃহবন্দি করে। এ ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে -মিঠাপুকুর থানায় খবর দিলে কিছুক্ষণ পরে ঘটস্থলে সাব ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হন।
প্বাশের বাড়ির রেশমা বেগম জানান- তার দেবর মৃত মঞ্জরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী রেহেনা বেগম ঢাকায় চলে যান। খালি পড়ে থাকা বাড়িটি দোকানসহ ভাড়া নেন মেম্বার শহিদুল ইসলাম।
তারপর ঘটক হিসেবে ছেলে-মেয়েকে দিয়ে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে, অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। রেহেনা যদি ঢাকা থেকে আসে তাহলে দিনে কিংবা রাতে একসাথে থাকেন। রেহানার সাথে মেম্বারের দৈহিক সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আমরা যদি কিছু বলি তাহলে মেম্বার আমাদের হুমকি দেয়?এছাড়াও নারীকেলেঙ্কারিসহ বন্ধুর বউকে ব্লাকমেইল করে ধর্ষণের অসংখ্য অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।এমন কি পথে ঘাটে সুযোগ পেলে যেকোন নারীকেই যে যৌন হয়রানি করে।আমরা এই কুলাঙ্গার মেম্বারের বিচার চাই।
স্থানিয় ইদ্রিস আলম গণমাধ্যম কর্মী – কবির সুজন ,বাবলু বারী, আতোয়ারকে ঘটনাস্থলে বলেন- এই মহামারিতে মেম্বার হিসাবে তিনি যে কাজটা করছেন তা ঠিক হয়নি! আর এই মেম্বার ভালো মানুষ না। এ মেম্বারের অনেক খারাপ রির্পোট আছে। সে ইয়াবা বড়ি খায়,মদ খায় ও মেয়ে নিয়ে খেলাধুলা করেন হরহামেশা।
শহিদুল ইউপি মেম্বার টাকা দিলে, সব কিছু করেন,নেশার খান এবং মাঝে মাঝে মহিলা নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা করে।
আজ আমরা তাদের ফলো করি এসে দেখি একজন মহিলা দরজায় আর আরেকজন মহিলাসহ মেম্বার উলঙ্গ অবস্থায় ঘরে । স্থানীয়বাসিন্দা শাহ্ নেওয়াজ ও আতোয়ার সহ রাজু,খন্দকার মিলন,মিজান জানায়,
কয়েকদিন আগে এলাকায় জুয়া খেলা দেয়। এ বিষয়ে চেংড়ামারি ইউপি চেয়ারম্যান টুটুলের কাছে অভিযোগ দিলেও, কোন ভূমিকা নেন নি বরং কোন রকম দায়সারা ভাবে, টুটুল চেয়ারম্যান বলেন – দেশের এই পরিস্থিতিতে কোন বিচার করা হবে না। অথচ তিনি দিন-রাত প্রতি নিয়তই বিচার করে চলেছেন।
তবে তিনি মেম্বারকে মুঠোফোনে সতর্ক করে বলেছিলেন,নারী কেলেঙ্কারি,মাদকব্যবসায়ি,
প্রতারণাসহ এই ধরে তোর কিন্তু ১৭টি অভিযোগ আসলো।
এসআই রবিউল ইসলাম জানান- এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় মেম্বার শাহিদুল ইসলামসহ শিল্পী ও ফেন্সি নামে দুইজন মহিলা দেখতে পাই। প্রাথমিক ভাবে তাদের বাড়ি পাশ্ববর্তী বদরগঞ্জ উপজেলায় বলে জানা যায়।
পরে মিঠাপুকুর থানার অফিসার্স ইনচার্য জাফর আলী বিশ্বাসের নির্দেশে তাদের তিনজনকে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..